Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এনজিও

অত্র ৭নং আইলচারা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এনজিও এর কোন প্রতিষ্ঠান নেই

 

বিভিন এনজিও গ্রামে গিয়ে অসহায় মানুষের মাঝে ঋন কার্যক্রম প্রদান করে থাকে ।

যেমনঃ-

০১। আশা

০২। ব্র্যাক

০৩। জাগরনী

০৪। গ্রামীন ব্যাংক ইত্যাদি

 

আশা [ASA]

প্রধান কার্যালয় ঃ আশা টাওয়ার, ১৪,১৫ তলা, ২৩/৩, বীর উত্তম এ.এন.এম. নুরুজ্জামান সড়ক, শ্যামলী, মোহাম্মপুর, ঢাকা-১২০৭।

Web: www.asa.org.bd , E-mail: asa@asabd.org, ফোনঃ ৮১১৯৮২৮, ফ্যাক্সঃ ৮৮০-২-৯১২১৮৬১,

 

 

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মহোদয়ের পরিচিতিঃ

 

Text Box:  }&

আশা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী, ১৯৪৯ইং সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার নরপতি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে বি. এ (সম্মান) সহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। উল্লেখ্য, বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রবেশনারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েও চাকুরীতে যোগদান না করে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে আত্মনিয়োগ করেন এবং দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ উন্নয়ন কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

 

পটভূমিকাঃ

 

১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা/থানাধীন টেপরা নামক স্থান থেকে আশা’র কার্যক্রম শুরু হয়। সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও তাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে আশার সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন জনাব মোঃ সফিকুল হক চৌধুরী। সে সময় তিনি সমমনা বেশ কয়েকজন উন্নয়ন কর্মী নিয়ে ‘‘আশা’’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

প্রচলিত গতানুগতিক উন্নয়ন ধারার সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রমের জন্য একটি বিকল্প উন্নয়ন ধারা অনুসন্ধানের ইচ্ছা থেকেই মূলতঃ ‘‘আশা’’র জন্ম। জন্ম লগ্ন থেকে ‘‘আশা’’ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আত্মনির্ভর ক্ষুদ্র ঋনদানকারী প্রতিষ্ঠান তথা Micro finance Institute (MFI) হিসেবে দেশ বিদেশে সমাদৃত।

সময়ের দাবী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে ১৯৯২ সনে সংস্থার কর্মপদ্ধতি ও কর্মকান্ডের ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। তখন থেকে সঞ্চয় ও ঋণ কার্যক্রমের সেবার দ্বারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে (বিশেষ করে মহিলা) ‘‘অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষমতায়নের’’ মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সেবার বিনিময়ে অর্জিত সেবামূল্য থেকে সংস্থাকে স্থায়িত্বশীল ও টেকসই করার দৃঢ় প্রত্যয় এবং অভিপ্রায় নিয়ে নতুন ভাবে কার্যক্রম শুরু করে।

ক্ষুদ্র ঋণে আশা’র গৌরবময় অর্জন ও নন্দিত সফলতার কারণে আজ আশা’র মডেলকে অনুসরণ করা হচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশে। আশা’র সহজ সরল, নমনীয় এবং ব্যয় সাশ্রয়ী নীতিই এই সফলতা অর্জনের মূল চাবি কাঠি। বিদেশী অনুদানহীন সস্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে আত্মনির্ভরশীল টেকসই উন্নয়ন মডেল হিসাবে ‘আশা’ বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে।

 

বিদেশে আশা’র উন্নয়ন মডেলঃ আশা’র উদ্ভাবন মূলক ক্ষুদ্র ঋণ মডেল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনুসৃত হচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যে সকল দেশে আশা’র মডেলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা হলো আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান, কম্বোডিয়া, ভারত, জর্দান, মায়ানমার, পাকিস্তান, ঘানা ও পেরু।

 

বাংলাদেশে আশা’র মডেল ঃবাংলাদেশে অনেক সংস্থা আশা’র মডেলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।